অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
যদি তাঁর দেখা পাই - দেওয়ান সেলিম চৌধুরী

জীবন  সায়াহ্নে এসে 
        তোমাকেই ভালোবেসে
আগ্রহ বেড়ে গেলো, বেশী করে
        তোমাকে জানার।
কতদিন কত বিনিদ্র রজনী তাই
        ভেবে ভেবে করেছিনু পার
কোন রূপে আমার বিধাতাকে আমি
          করিবো আবিষ্কার?
যত পথ, যত মত, পৌরাণিক বিশ্বাস
          কিছুই রাখিনি বাকী
সব পথ ঘুরে এসে, মনে হলো অবশেষে
          সব যেন অহেতুক ফাঁকি।
মানুষকে ভালোবেসে, তূর পর্বতে এসে
যে বাণীগুলো এনেছিলে নিজ হাতে করে
          অন্ধপ্রায়, অসহায় মানুষের তরে
সেই মানুষই এঁকেছে তোমায়
         নিষ্ঠুরতায় ভরে।
বিধাতাকে নিয়ে নিষ্ঠুর হিসাব
          হৃদয়ে দেইনি ঠাই
আমার বিধাতাকে আমি চিনে নেবো
           যদি তার দেখা পাই।
কল্পনায় যতটুকু দেখা যায়
           দিয়েছি পাড়ি মহাশূন্যতায়
সেখানেও দেখেছি অগ্নিপিণ্ড
           জ্বলিছে তারায় তারায়।
শূন্যতা জুড়ে রয়েছে ভরে
           অনু পরমানুর অহেতুক অপচয়
সেখানেও মিলিলোনা আমার বিধাতার
           সুন্দর পরিচয়।
তাই অনেক সাধনা করে
           প্রবেশিনু নিজ ঘরে।
নিজের ভিতর করিয়া প্রবেশ
          সেথা দেখি বিধাতার কি আশ্চর্য্য বেশ!
কোথাও দেখিনি আমি, বিধাতার মাঝে
           দৈন্যতার লেশ।
Cell (সেল) থেকে Gin (জিন), বর্ণ বিহীন
            সাজায়েছে স্তরে স্তরে।
মানুষ যখন গভীর নিদ্রায়
অবচেতনের ঘোরে
হৃদপিণ্ড তখনো, করিছে কম্পন
         বিধাতা বিধাতা করে।
সীমিত রক্ত, অসীম ধারায়
         বহিয়া বেড়ায় শিরায় শিরায়।
আবার ফিরিছে নিজ নিকেতনে
         তাঁহারই করুণা ধারায়।
প্রাণের মাঝে তুমি মিশে আছ
         হওনি নিরুদ্দেশ
তোমার কারণেই প্রাণের সৃষ্টি
         তোমার কারণেই শেষ।

দেওয়ান সেলিম চৌধুরী
অটোয়া, কানাডা