অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তারপরই - শীতল চট্টোপাধ্যায়

পত দৃষ্টির উৎসব - মেলায়
চোখ মেললে - কান পাতলে
ব্যানার -হোডিংয়ের মতোই
প্রীতির ছবি, সম্প্রীতির সুর৷
আমার দেশের মাটি ছুঁয়ে কিংবা
বাতাসের পরশ থেকেই
জন্মানো অনুভূতিতে-
প্রীতির আকাঙ্খা, সম্প্রীতির সুচেতনা ৷
যে চেতনার একই ভিতের ওপর
অপার্থক্যে দাঁড়ানো
মন্দির, মসজিদ, চার্চের
উর্দ্ধ চূড়া৷
সম্প্রীতির একত্রিতে সহাবস্থান যেখানে৷
যেখানে - জাত, পদবী, শ্রেণী, গোত্রহীনের
শুধু মাত্র মানুষকেই দেখা যায়৷
যত মানুষের মন পথ,
যত জীবনের হাঁটা পথ,
দেশ ঘিরে যত সীমানা পথ,
সবখানেই ফুটে থাকা
নির্বিবাদী ফুলের হাসিতে
আমি সহিষ্ণু হই, প্রেম হই, ভালোবাসা হই,
সুজন হই, স্বজন হই৷
তবুও, পৃথিবী জুড়ে
হিংসা, কাড়া, অসহযোগ, অন্যায় অধিকারের-
মানবতাহীন সত্য প্রকাশ।
ভুলে যাওয়া
মানবগত প্রেমপ্রকৃতিকে
জাগানোর জন্যই
সম্প্রীতির আহ্বান, ভালোবাসাবাসির ডাক,
সুমনের দেওয়া- নেওয়া,
হাতে - হাত রেখে রাখি বন্ধনের আয়োজন৷
সম্মান জ্ঞাপন -গ্রহণ সাফল্যের যথার্থেই
সম্প্রীতি সম্মান৷
তারপরই বেঁচে থাকেন-
চৈতন্য, লালন, রবীন্দ্র - নজরুল৷

শীতল চট্টোপাধ্যায়
জগদ্দল, উত্তর ২৪ পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতবর্ষ