অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
প্রবীর বারিকের দুটি কবিতা

১)  মাতৃভাষাই মাতৃচরণ

১৯৬১ সন ১৯ শে মে 
আসাম বরাক উপত্যকা
বাংলাভাষার স্বীকৃতিতে
বীর বাঙালির স্বপ্নদেখা।

মাতৃভাষা মায়ের সমান
সেই মাকেই মারতে চায়
পুঞ্জীভূত হয় আক্রোশ
সইবনা আর এই অন্যায়।

শিরায় শিরায় শোণিত ধারায় 
বাংলাভাষার অমূল্যদান
বীর মনীষীর জন্মভুমি
নাড়ির থেকেও নিবিড় টান।

সেই ভাষাকেই করো অপমান?
অত্যাচারী শাসকগণ
এক সুরে এক প্রাণে এক হৃদয়ে 
শপথ নিয়েছি মরণপণ।

রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছো 
মাতৃভাষাই দিবাস্বপ্ন
মাতৃভাষাই অমৃত ভাষা
এ হল আমার পরমান্ন।

আমার কথন আমার লিখন
মধুর বাংলা ভাষা
এই ভাষাতেই মা মা ডাকি
খুঁজে পেয়েছি বাঁচার দিশা।

মাতৃভাষার মৃত্যুদণ্ড
মাতৃহত্যা সমান
হে পাষণ্ড নির্লজ্জ
মাতৃশিরে ধরিস কামান?

শেষবিন্দু রক্ত দিয়ে
রক্ষাকরব ভাষার মান
শহীদ রূপে অমর হব
ব্যর্থ হবে না এই বলিদান।

যুগে যুগে করবে স্মরণ
ভাষার জন্য আত্মমরণ
গর্বে বুক ফুলিয়ে বলো
মাতৃভাষাই মাতৃচরণ।

২)  একাকীত্ব

প্রিয় বন্ধু আপনস্বজন
সবাই আছে ঘিরে
মনটা তবু উদাস থাকে
বিবর্তনের ভিড়ে।

স্বার্থ ছাড়া কেউ নেয় কি
কুশলতার খোঁজ?
ভালো আছি শুনলে পরে 
ধরে হিংসার ধ্বজ।

মন খুলে বলবো কথা
মনের মানুষ কই?
মুচকি হাসির অন্তরেতে 
শত্রুতা বিরুদ্ধতার সই।

জীবন যুদ্ধে ব্যর্থ হলে
ঠেলবে বিষম গর্তে 
সাহায্যের হাত কাটা সব
ঠুঁটো জগন্নাথ মর্ত্যে।

সবাইকে আজ ত্যাগ করেছি
একা একাই বলি একা একাই চলি
শশব্যস্ত গরল সমাজ 
মোহে অন্ধ অলি যুগটাই ভাই কলি!!

প্রবীর বারিক
নয়াগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত