অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
তীর্থঙ্কর সুমিতের তিনটি কবিতা

১) ইতিহাস লেখা

নির্বিচ্ছিন্ন অভিন্ন হৃদয়
পুষে রাখা যত বেদনা
মিলিয়ে যেতে যেতে...
আজও একটা অসমাপ্ত চিঠি লেখা আছে
আমার ছেঁড়া ডায়েরির পাতায়
দায়িত্বের কৃষ্ণচূড়া এখন
লালে লাল হয়েছে বসন্ত কথায়
তোমার না পাওয়া আক্ষেপ

হৃদি মাঝে ইতিহাস লেখে।

২) অন্ধকার দেখা

সারাটা পাতা জুড়ে কাটাকুটি
অক্ষরে অক্ষরে ঢেউ কথা
লিখে রাখে ব্যর্থ পরিহাস
অনন্ত দুপুরে শৈশবের কারুকাজ
এখন ক্লান্তির পদাবলী
তুমি আসবে বলে
লজ্জাবতীর শিকড় আমার বাড়ির চৌহদ্দিতে
অপেক্ষা করে

আর বিকেলের রামধনু ক্রমশঃ মিলিয়ে যেতে যেতে

এখন অন্ধকার দেখি।

৩) একটা অনুভূতি

কটা অনুভূতির আদলে কিছুটা সময়
পুরোনো ইতিহাস লেখে বইয়ের পাতা জুড়ে
সময়ের নৌকা হলদি নদীর ঘাটে অপেক্ষা করে
যত দূরন্ত উচ্ছ্বাস ক্রমশঃ ফিকে হতে হতে
কখন যেন মিলিয়ে যায় পরিমিতির সূত্রে
তুমি আসবে বলে এখনও বৃত্তটা বিন্দু হয়নি
নবম শ্রেণীর ঘরে এখনও ব্ল্যাকবোর্ডে

কেউ হলদি নদীর অপেক্ষা আঁকেনি

তুমি আসবে বলে...

তীর্থঙ্কর সুমিত
মানকুণ্ডু, হুগলী