অটোয়া, রবিবার ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪
নির্মল কুমার প্রধানের কবিতা

১)  মরলে সবাই মাটি

ভ্রংলিহ হোক্ আর তৃণ থেকে সুনীচ হোক্
--- শুধু মরলে সবাই মাটি, 
তবে আকাশ ছোঁয়া সিঁড়ি বেয়ে পতনোন্মুখী হবার চেয়ে
দীনতা- নম্রতার মৃদু গন্ধ বয়ে
হৃদয়কে সাজিয়ে গুছিয়ে অহমিকা -ঋণমুক্ত হওয়া শ্রেয়।

জীবন তো মৃত্যুর চরে বাঁধা একটা নৌকো
যত সাজাই -- সে অচিরে জীর্ণ হবে, 
জীবনকে ঘিরে রঙিন ফানুস কি উড়োতেই হবে? 
তরতর ক'রে হাউই য়ের মতো উঠে গেলে -- তারপর! 
জনসমুদ্রের উথালি ঢেউয়ে একাকী পার পেয়ে লাভ কি? 
পরস্পর নির্ভরশীলতা ও ভালোবাসা 
নিজেকে বাঁচানোর একমাত্র পথ ও পাথেয়।

ধনাঢ্য ব'লেই তুমি শেকড় ছড়াবে ইচ্ছে- খুশির 
ফলে- ফুলে সুশোভিত হয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে
আর বাকিরা গায় মাটি মাখবে, 
ক্ষুধা - তৃষ্ণার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াবে --- এ হয় না। 
জীবন -সংস্কৃতির  প্রতি পাতায় এই বিজ্ঞাপন তো আছেই ---- মরলে সবাই মাটি।

২)  স্মৃতির ঝলক 

ন্দী দাদু তামাক ভরেন
  কল্কে গোঁজা হুঁকোয়
ভৃঙ্গী চ্যালা খোশমেজাজে 
  হাঁটুতে তাল ঠুকোয়। 

রাত্রি তখন প্রথম প্রহর
     ভর সন্ধ্যে বেলা
একটু পরেই চলবে দেদার
     সাধের পাশা খেলা। 

কেউ পড়বে মহাভারত, 
  রামায়ণ বা কেউ, 
হবে  থিকথিক বৈঠকখানা
    লুটবে খুশির ঢেউ। 

এমনি ক'রে দিন গড়াতো
   রাত ফুরাতো ধীরে 
উসকে স্মৃতি আজও ভাবি
   হারানো দিনটিরে। 

ব্যস্ততা আজ ডুবিয়ে রাখে  
   নাক উঁচিয়ে পাই ---
রাজনীতি রং কড়চা খানি, 
   পরচর্চার ছাই।

নির্মল কুমার প্রধান
দক্ষিণ ২৪ পরগণা
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত