সেখ কামারুল ইসলামের তিনটি কবিতা
১) সাড়া
রাতের তারাদের ভরসায় তোমাকে রেখে আমি বেরোলাম রোদ্দুরে।
আর অন্তরালের তারাদের হেঁকে বললাম,
শীতলতা দিও তারে, স্বপ্ন আর শান্তি।
খর রোদ্দুরে বর্ষা এলো আমায় ঝেঁপে,
রাতের তারাদের সাথে চাঁদ উঠলো হেসে।
আমি আরশের দিকে তাকিয়ে বললাম,
প্রভূ হে, আমার দৃষ্টিকে করো প্রসারিত!
২) ভাঙ্গন
এক হয়ে ছিল, না জানি কতদিন!
ভাঙ্গনের পর মুখোমুখি থাকা
আজ নিত্যন্তই কঠিন।
যে সত্ত্বা একীভূত ধরেছিল
তাই সত্য হয়ে এখন সম্মুখে দাঁড়িয়ে!
ভাঙা চুম্বকের প্রতিটি
কণাই আজ পরস্পর স্বাধীন।
মেরু, অন্য মেরু ছাড়া কাছে টানে না।
জন্মাবধি জুড়ে থাকা সুখ-মুখ
আজ আর সয় না,
আজ কর্ষণ, আজ ভাঙ্গনের দিন।
আজ সমমেরু পরস্পর,
সামনাসামনি ছেয়ে, সুতীব্র বিকর্ষণ!
৩) শূণ্য এক, এক শূণ্য
আমি দুঃখ পেলাম।
আমার উদার আকাশের উচ্চতা
কতখানি কমিয়ে দিয়েছে ভাবতে পারো, এই খেয়ালী মেঘ!
আমার দৃষ্টিকে কতখানি বদ্ধ করেছে, জানো?
জোৎস্না, চাঁদ-তারা, দিনের সূর্য সব।
আমি, শূণ্য নিয়ে বসে থাকতে থাকতে আবারো তাকালাম উর্ধ্বে।
আমি, চিরায়ত আকাশের বুকে
উচ্ছৃঙ্খল মেঘের উৎপাতে অতিষ্ঠ, তিতিবিরক্ত!
তবুও উদাসী মনে, হতাশ চোখে তাকিয়েই থাকলাম।
আমি, শূণ্য নিয়ে বসে থাকলাম,
আর মেঘ গুলো...
মেঘগুলো আপনার খেয়াল খুশিতে
এক এক করে তার আগে জুড়তে লাগলো...
সেখ কামারুল ইসলাম
হাটুড়িয়া, বাগনান, হাওড়া
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
-
ছড়া ও কবিতা
-
04-10-2024
-
-