অটোয়া, বুধবার ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
বাকাওভ: ফিনিক্স অব নর্থ আমেরিকা – কবির চৌধুরী

মৃত্যু অনিবার্য। “জন্মিলে মরিতে হইবে”- এটাই প্রকৃতির নিয়ম। রূপকথার ফিনিক্স পাখি মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনে নিজেই নিজের ঘর আর নিজেকে জ্বালিয়ে দেয়। পুড়ে যাওয়া নিজের ঘর আর ভস্ম থেকে আবার শুরু হয় সৌভাগ্যের প্রতীক জাতিস্মর ফিনিক্সের অবিনাসী যাত্রা। কল্পকাহিনীর ফিনিক্স পাখি নতুনভাবে জন্ম নেওয়ার জন্যেই নিজে নিজেকে জ্বালিয়ে ছাই-ভস্ম করে দেয়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই রচনায় আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন, “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)” কে ফিনিক্স পাখির সাথে কেন তুলনা করা হচ্ছে? ফিনিক্স পাখির সাথে বাকাওভের তুলনা করার সঙ্গত কারণ কী?

বাকাওভের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে কয়েকবারই সংগঠনটিকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাকাওভের এই পুনরাবির্ভাবকে অনেকেই ‘পুনর্গঠন করা হয়েছে’ না বলে ‘পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে’ বলেন! আজকের লেখার মূল উদ্দেশ্য হলো- পুনর্গঠন বা পুনরুজ্জীবন যেভাবেই সংগঠনটিকে বিশেষায়িত করা হয় না কেন, বারে বারে সেটার প্রয়োজন কেন হচ্ছে তার আলোচনা করা।

পুনর্গঠন! ‘বাকাওভকে পুনর্গঠন’ করতে গিয়েই ‘পুনর্গঠন’ শব্দটির ব্যবহারিক প্রয়োগের সাথে আমার বাস্তব পরিচয়। ২০১৭ সাল। ২২শে অক্টোবর। অটোয়ার বাতাসে হিমশীতল গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। এমন দিনে হঠাৎ করেই উত্তর আমেরিকার বহুধা বিভক্ত সংগঠন ‘ফোবানা’র এক অংশের চেয়ারম্যান এজাজ আকতার তৌফিক অটোয়ায় ২০১৮ সালে ফোবানার সম্মেলন করার জন্য শহরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন! বাকাওভের তৎকালীন সভাপতি এনায়েতুর রহমান আঙ্গুরসহ শহরের একঝাঁক সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অনেকেই উপস্থিত। স্থানীয় সিরভিল কমিউনিটি সেন্টার সরগরম! কবি সুলতানা শিরীন সাজির সাবলীল উপস্থাপনায় মতবিনিময় সভাটি ভালই চলছিল। সবাই আনন্দে আত্মহারা। প্রথমবারের মত কানাডার রাজধানী অটোয়ায় উত্তর আমেরিকার বহুধাবিভক্ত “ফোবানা”র একটি অংশের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। কিন্তু এই আনন্দ বেশি সময় থাকেনি। আলোচনা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যে আয়োজক সংগঠন নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। নানাজন নানানামে সম্মেলনটি আয়োজন করতে চান। কিন্তু চাইলেই কি সব করা যায়? না, তা করা যায় না। এই বাকবিতন্ডার মধ্যেই অটোয়ার একমাত্র অসাম্প্রদায়িক সংগঠন “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী”কে সম্মেলনের ‘আয়োজক’ করতে প্রস্তাব করলে মতবিনিময় সভার অনেকেই এর বিরোধিতা করেন। বাকাওভের নেতৃত্বে ‘ফোবানা সম্মেলন’ আয়োজনে অনিহার কারণ, অটোয়ায় “বাকাওভ” নামক সংগঠনটির জীর্ণদশা। সংগঠনের সভাপতিসহ হাতেগোণা কয়েকজন বাঙালি বাকাওভের সদস্য! এমতাবস্তায় ফোবানা সম্মেলনের মত মহাযজ্ঞের আয়োজন অসম্ভব! 

অলৌকিকতায় আমি বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি প্রয়োজনই মানুষকে কিছু করতে বাধ্য করে। আর সে প্রয়োজন ছিল বলেই সেদিন হঠাৎ করে বাকাওভের সবেধন নীলমণি সভাপতি এনায়েতুর রহমান আঙ্গুর বাকাওভকে পুনর্গঠন করার প্রস্তাব রাখেন। তাঁর প্রস্তাবে উপস্থিত সবার টনক নড়ে। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? সেদিন সভায় উপস্থিত কেহই এই দায়িত্ব নিতে আগ্রহ দেখাননি। কারো কোনো সাড়া না পেয়ে সভাপতি নিজেই সভায় উপস্থিত সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুকে “বাকাওভ পুনর্গঠন” করার দায়িত্ব নিতে বলেন। জবাবে মিন্টু বলেন, “আমি এক শর্তে বাকাওভ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিতে পারি যদি আমার সাথে কবির চৌধুরী এবং শাহ বাহাউদ্দিন শিশির থাকেন।”

সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুকে বাকাওভের পুনর্গঠনের দায়িত্ব দেওয়াকে অলৌকিকই বলতে হয়। মিন্টু ইতিপূর্বেও বিভিন্নসময় বিভিন্নভাবে বাকাওভের সাথে জড়িত ছিলেন। উদাহরণ হিসেবে গত শতকের বিরানব্বই সালের কথা বলা যায়। শহরে নতুন অভিবাসীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হঠাৎ করেই শুনলাম স্থানীয় নূপুর রেস্টুরেন্টে অটোয়ার বাঙালিদের সংগঠন ‘বাকাওভ’ নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সভার আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তা রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শেখ মোহাম্মদ ফারুক। সেখানেই সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর সাথে আমার পরিচয় - সার্বিকভাবে বাকাওভের সাথে পরিচয়। আয়োজকদের কাছে বিশেষ করে সভার সঞ্চালক মিন্টুর কাছে বাকাওভের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস শুনলাম। জানলাম সংগঠনটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। 

রেস্টুরেন্ট ভর্তি মানুষ। দুচারজন ছাড়া সবাই নতুন। সেই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় অটোয়ায় নতুন অভিবাসন নেওয়া বাঙালিরা বাকাওভের সাথে জড়িত হবেন। যেমন কথা তেমন কাজ! সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তখনকার বাকাওভের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদেরকে তাদের আগ্রহের কথা জানান। 

নতুনদের আগ্রহের কথা যে পুরাতনদের কাছে ভাল লাগেনি- তা কয়েকদিন পরই জানা গেল। স্থানীয় ওয়েগিং প্রাইভেটে আমরা একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়া দেখলাম। গতানুগতিক নির্বাচন। নির্বাচনের আগে দুটি প্যানেল জমা পড়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের দিন একটি পক্ষ তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। নির্বাচনে শহরের পুরাতন বাংলাদেশিদের নিয়ে গঠিত প্যানেলটি তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নতুনদের দ্বারা গঠিত প্যানেলটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। নতুনদের দ্বারা তৈরি হলেও কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন শহরের পুরাতন ঘরানার লোক ড. মাকসুদুর রহমান। আর এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন শহরের নতুন অভিবাসী নব্বইয়ের বাকাওভ রেনেসাঁ সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু। সে হিসেবে বলা যায় সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর ১৯৯৩ সালে বাকাওভের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়া আর ২০১৭ সালে বাকাওভ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নেওয়া একই সূত্রে গাঁথা। মিন্টু যে বাকাওভকে অন্তর থেকে ভালবাসতেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ ২০১৭ সালের বাকাওভ পুনর্গঠন প্রক্রিয়া। তাঁর নেওয়া এই প্রক্রিয়ার সাথে আমি জড়িত ছিলাম। দেখেছি মিন্টু কীভাবে দিনরাত এক করে বাকাওভকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করেছেন। অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে সংগঠনটিকে আবার দাঁড় করিয়েছেন। 

পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাকাওভের পুনর্জন্ম নতুন নয়। ২০১৮ সালের আগেও আরও দুই বার বাকাওভের পুনর্জন্ম হয়েছে। নতুন আর পুরাতনের “অম্লমধুর” সম্পর্কের টানাপোড়নে নতুনদের নিয়ে গঠিত বাকাওভ সংগঠন হিসেবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। নব্বইয়ের বাকাওভ রেনেসাঁ কয়েকবছরের মধ্যেই কোথায় যেন হারিয়ে যায়। সম্ভবত চুরানব্বই সালের শেষ দিকে বাকাওভের প্রথম পুনর্জন্ম হয়। কয়েকবছর ভালই চলে। তারপরের ইতিহাস বাঙালির চিরাচরিত ইতিহাস। ক্ষমতায় গিয়ে বসে থাকার ইতিহাস। ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে শহরের অধিকাংশ সাংস্কৃতিক কর্মী নিজেদেরকে বাকাওভ থেকে দূরে সরিয়ে নেন। সেই সুযোগে দুতিনজন ব্যক্তি সংগঠনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে সাত-আট বছর বাকাওভকে কুক্ষিগত করে রাখে। আরও কত বছর বাকাওভ এভাবে অতল গহবরে থাকত কে জানে!

বিধি বাম! হঠাৎ করে ২০০৯ সালে অটোয়া থেকে ‘মাসিক আশ্রম’ বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। পত্রিকায় গল্পকবিতার পাশাপাশি সংবাদের প্রয়োজন। স্থানীয় বাঙালিদের সংবাদ ছাড়া পত্রিকা চলবে কীভাবে? তখনই দ্বিতীয়বারের মত আমার মাথায় বাকাওভ পুনর্গঠনের চিন্তা আসে। তৎকালীন সভাপতির সাথে যোগাযোগ করি। নানা টালবাহনা আর আগ্রহী সংগঠকদের অভাবে কোনভাবেই যখন বাকাওভের কমিটি করা সম্ভব হচ্ছিল না, তখন আমি এক “ঐতিহাসিক স্বপ্ন” দেখি। আমার সে স্বপ্নের নায়ক ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা এনায়েতুর রহমান আঙ্গুর। সেই স্বপ্নের কারণেই প্রায় আট বছর পর ২০১১ সালে বাকাওভ দ্বিতীয়বার পুনর্জন্ম লাভ করে। তখন বাকাওভের সভাপতির দায়িত্ব নেন এনায়েতুর রহমান আঙ্গুর। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, চুরানব্বই সালেও বাকাওভের নতুন কমিটি করার মূল হোতা আমি। আমার কথাতেই পার্ল অব ইন্ডিয়া রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী শওকত রেজা তার রেস্টুরেন্টে কয়েকটি সভার আয়োজন করেন। সেসব সভার ফলেই বাকাওভের প্রথম পুনর্জন্ম হয় এবং নাজমুল হোসেন সভাপতির দায়িত্ব নেন। এখানেই পৌরানিক কাহিনীর ফিনিক্স পাখির সাথে বাকাওভের মিল! ফিনিক্স পাখি বারেবারে যেভাবে এই ধরিত্রীতে ফিরে আসে ঠিক সেভাবেই কানাডার রাজধানী অটোয়ার প্রথম সংগঠন, “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)” আমাদের মাঝে ফিরে আসে। 

সবগুলো পুনর্জন্মের পর সংগঠনের কার্যক্রম ছিল দেখার মত। বাকাওভের এই পুনরাবির্ভাব বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে। সবকিছু মোটামুটি ভালই চলছিল। সংগঠনকে ঘিরে নেতৃবৃন্দের কার্যক্রম বিশেষ করে প্রতি বছর সময় মত বাকাওভের বাৎসরিক নির্বাচন সম্পন্ন করে নতুন কমিটি গঠন স্থানীয় বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। সেসময় আমরা বেগম রাশেদা নেওয়াজ, ফারুখ ফয়সল প্রমুখদেরকে বাকাওভের সভাপতি হিসেবে দেখতে পাই। কিন্তু  সেপ্টেম্বর ১১, ২০০১ সালে আলকায়েদা নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলা চালালে উত্তর আমেরিকার অন্যান্য শহরের মুসলমানদের মত অটোয়ার বাংলাদেশি মুসলমানদের মধ্যেও এক বিরাট পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। একে তো নেতৃত্বের কোন্দল, তার উপরে শহরের অধিকাংশ বাংলাদেশিরা মুসলমান এবং সংখ্যালঘু! সংখ্যালঘু হিসেবে নিজেদের রক্ষার তাগিদে অনেকেই তখন জাতিগত সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হতে থাকে। গজিয়ে উঠতে থাকে একের পর এক ধর্মীয় সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান আর ছোট ছোট এনজিও। এসবের যাতাকলে আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় আমাদের সকলের প্রতিনিধিত্বকারী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বাকাওভ!

অটোয়া এখন আমার শহর। বসবাসের স্থায়ী ঠিকানা। বাকাওভের উত্থান আর পতনের সাথে আমার পরিচয় সাইত্রিশ বছরের। নেতৃত্বের কোন্দলে সংগঠনের পতন যেমন দেখেছি, তেমন দেখেছি তার পুনর্গঠনের চিত্র। উদাহরণ হিসেবে ২০১১ সালের কথাই বলা যায়। এনায়েতুর রহমান আঙ্গুরের দায়িত্বের প্রথম দিকের কথা। তার নেতৃত্বে বাকাওভ অনেক ভাল ভাল অনুষ্ঠান অটোয়ার বাঙালিদের উপহার দিচ্ছে। চারিদিকে বাকাওভের পুনরজনমের জয়জয়কার। এরকম এক ফিরে আসার মহোৎসব ছিল বাকাওভ আয়োজিত বাংলাদেশের ‘চল্লিশতম স্বাধীনতা দিবস’। সেই অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিতে গিয়ে উত্তর আমেরিকার পাঠকনন্দিত বাঙালি লেখক ড. মীজান রহমান বলেছিলেন, “আজকে যদি আটাত্তর বছরের বৃদ্ধ না হয়ে আমি একজন তরুণ যুবক হতাম, তাহলে লাফ দিয়ে চল্লিশ হাত উপরে উঠতাম।” 

একইভাবে, ২০১৮ সালের বাকাওভ পুনর্গঠনও শহরের বাংলাদেশিদেরকে উজ্জীবিত করে। এই পুনর্গঠনে আমরা শাহ বাহাউদ্দীন শিশিরকে বাকাওভের সভাপতি হিসেবে পাই। তার দায়িত্বকালীন সময়ে আমরা সামগ্রিকভাবে শহরে একটি সংগঠনের কার্যক্রম দেখতে পাই। শাহ বাহাউদ্দিন শিশির তার দায়িত্বের সময় সংগঠনটিকে বাংলাদেশি আচার-অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ না করে কানাডিয়ান মূলধারার সাথে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেন। শহরের অধিকাংশ বাংলাদেশিই মনে করেন, বাকাওভের বায়ান্ন বছরের ইতিহাসে শাহ বাহাউদ্দিন শিশির অন্যতম সেরা সভাপতি!

দশ হাজার বাংলাদেশি অধ্যুষিত শহর অটোয়ায় ছোটবড়, ধর্মীয়-অধর্মীয় অনেক সংগঠনই রয়েছে। ভালমন্দের ভীড়ে বাকাওভের মত সার্বজনীন একটি সংগঠনের প্রয়োজন থেকেই বারে বারে বাকাওভের ফিরে আসা। বাকাওভ ফিনিক্স পাখির মত ফিরে আসে ঠিকই কিন্তু টিকে না। ধরিত্রীর ছোট শহর অটোয়ার অতল গহবরে হারিয়ে যায়। 

বাকাওভ নিয়ে সার্বিক আলোচনার জন্যে এই লেখা। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে অটোয়ার বর্ধিষ্ণু বাঙালি জনগোষ্ঠীকে কেবলমাত্র সার্বজনীন সংগঠন বাকাওভই প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। এই জন্যে বাকাওভের স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন। আমি আশা করি, অটোয়ার সংগঠক, সমাজ গবেষক, লেখক, পাঠক ও সৃজনশীল ব্যক্তিবর্গ তাঁদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে বাকাওভকে স্থিতিশীল করতে সহযোগিতা করবেন। 

- কবির চৌধুরী
অটোয়া, কানাডা