বর্ণচোরাদের রুখে দেওয়ার সময় এখন -নয়ন চক্রবর্ত্তী
বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নিয়ে ষড়যন্ত্র কম হয়নি,কম হচ্ছে না, ভবিষ্যতে আরো হবে। কিন্তু এসব অপশক্তির ডালপালা কাটতে হবে। হুম কেটে দিতেই হবে নাহয় এগিয়ে যাবে না প্রিয় স্বদেশ। এই দেশ যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীরা সর্বদিকেই তাদের বিষ প্রয়োগ করে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে তাহলো বর্ণচোরাদের কর্মকান্ডের ফল। মুখোশধারীদের তৎপরতা বেড়েছে। ভোল পাল্টে সবাই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হয়েছে।
ছাত্রশিবিরের নেতারা এখন স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্লোগান দিতে দিতে গলায় রক্ত আনে। জামায়াত নেতাদের স্ত্রী সন্তানদের হাতে নির্বাচনী মনোনয়ন তুলে দিয়ে অপরদিকে স্বাধীনতা বলে বলে দেশের চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে অথচ আমরা বিরামহীনভাবে বলছি দেশে তাদের উত্থান নেই। একটি পক্ষ এসব স্বাধীনতাবিরোধীদের আশ্রয় দেয়, তারা ভাবে পাল্লা ভারী করলেই হয়। গ্রুপিং করতে গিয়ে অনৈতিকতার পথ অবলম্বন করেই বর্ণচোরাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে ফলে তৃণমূল উপেক্ষিত, ত্যাগীদের অবমূল্যায়নে দেশের সৎ মানুষগুলো হতাশায় নিমজ্জিত হয়, এর ফলে সুবিধাবাদীরা সুযোগ নেয় সকল ধাপে।
ষড়যন্ত্রকারীরা স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি সাংবাদিকতায়ও তাদের ভিত্তি পোক্ত করেছে। বর্তমানে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় দেশ বিরোধীদের সংখ্যা যেমন অনেক তেমনি সাংবাদিকতায়ও । বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই তারা এদেশের সন্তান যে নয় তা বুঝাই যায়। পাকিস্তান প্রেমী এসব ভন্ডদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
প্রিয় স্বদেশের চেতনা লালন যারা করে না তাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে রাজাকাররা। শান্তি কমিটির মতো তারা নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে মগজ ধোলাই করছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। যখন কেউ বলে এটা তো রাষ্ট্রবিরোধী তখন এসব কর্মকান্ডের নাম দেয় তারা সমালোচনা। এই সমালোচনা নিয়ে তারা বহির্বিশ্বকে বুঝাতে চায় এটা একটা অকার্যকর রাষ্ট্র। অথচ বিগত ১০ বছর আগের বাংলাদেশ আজকের বাংলাদেশের তফাৎ আকাশ পাতাল। অথচ বর্তমান এই দেশে তারাই সবচাইতে সব সুবিধাবাজ। স্থানীয় সরকারের অধীনে সকল প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিলে জানা যাবে কত সুশীল কত টেন্ডার নিয়েছে , নামধারী বণর্চোরারা শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণে কত নতুন নতুন প্রজেক্ট খুলেছে।
সরকার দলীয় লেবাস লাগিয়ে রাষ্ট্রব্যবস্থায় ঐসব বর্ণচোরাদের রুখে দিতে হবে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অর্জন যারা মুছে দিতে চায় তারা এদেশীয় নব্য রাজাকার। তাদেরকে বাঁচানোর জন্য একজাতীয় শ্রেনী তৈরী হয়েছে, যে শ্রেনী তাদের নামে প্রোপাগান্ডা চালায়। মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে কোন বাঙালির, বাংলাদেশীর কোন সন্দেহ থাকার কথা প্রশ্ন আসেনা,। এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রশাসনের। কারণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিপক্ষে দুটো শক্তি। একটা শক্তি আরেকটা অপশক্তি। অপশক্তিকে দাঁড় করাতে তারা এখন প্রচার চালায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিছু তরুণ গুজব এবং অপপ্রচারের ক্ষেত্র তৈরী করে ফেসবুকে বিরোধী মনোভাব তৈরী করে সরকারকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত। আবার সরকারের সকল শুভ উদ্যোগকে নষ্ট করতে দলকানা ব্যক্তিরা সকল উন্নয়নকাজে লুঠপাট করে জনমনে খারাপ ধারণা সৃষ্টি করছে। প্রত্যেক ইউনিয়ন থানা পর্যায়ের উচিত এসব ভন্ডদের রুখে দেওয়া।
এটি সেই বাংলাদেশে যে বাংলাদেশে ফিফা বিশ্বকাপ খেলা দেখার জন্য মানুষ জেনারেটর ভাড়া করা লাগতো বিদ্যুত না থাকার কারণে,তখন বাংলাদেশে বিদ্যুত মাঝে মধ্যে দেখা দিত,বিদ্যুতের উন্নয়নের মানে শুধু খুঁটি কিনে রাস্তায় রাস্তায় ফেলে রেখেছিল সেই দেশ বিরোধী। আজ বাংলাদেশে কেউ বলতে পারবে না বিশ্বকাপ খেলা দেখতে পারেনি বিদ্যুতের কারণে। এটা সেই বাংলাদেশ যে বাংলাদেশে রেলওয়ে ছিল একটা অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে। রেল বলতে পুরানো ময়লা বগি। এখন রেলের যোগাযোগ বেড়েছে। প্রতিটি জেলায় মহাসড়ক গুলো প্রশস্ত হয়েছে নান্দনিক ভাবে। সন্ত্রাসের জনপদগুলো নিরাপত্তায় বতর্মানে মানুষ স্বস্তিতে অথচ ভন্ডরা এসব না বলে শুধু দেশটারে শেষ হয়ে গেছে বলে ধোঁয়া তুলে। তাদের দোসরেরা ব্যস্ত অপপ্রচারে, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশে সৃজনশীলতার নামে অবাধ মিথ্যাচার করছে কিছু সুশীল। যারা এনজিওর উপর ভিত্তি করে মনগড়া বক্তব্যে মিডিয়ার সামনে আনে।তারমধ্যে হঠাৎ দলবদলের হিড়িক পড়েছে এটা নিবেদিত প্রাণ হয়ে দলবদল করছে তা ভাবলে ভুলহবে। ক্ষমতার লোভে এবং অপকর্ম ঢাকতে দলে দলে আসছে তারা। এরাই সরকারের সকল অর্জনকে নষ্ট করতে যথেষ্ট। এই সময়ে সবচাইতে তাই বড় কাজ বর্ণচোরাদের রুখে দেওয়ার। মুখোশধারীদের বয়কট করে সমাজে তাদের অপকর্ম ফাঁস করাই আসল কাজ। প্রশাসনের উচিত এসব কাজকে সহায়তা করা, যদি প্রশাসন নিজেই তাদের প্রশ্রয় দেয় এবং স্বেচ্ছাচারিতা করে তাহলে সকল অর্জন ভেসে যাবে। দিনবদলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ৭১এর চেতনার বিকল্প নেই।
নয়ন চক্রবর্ত্তী
সংবাদ কর্মী
চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
-
নিবন্ধ // মতামত
-
24-01-2019
-
-