অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর অকাল মৃত্যুতে অটোয়ায় শোকের ছায়া – আশ্রম সংবাদ

টোয়ার বাংলাদেশিদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সদা হাস্যোজ্জ্বল সদালাপী সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু আজ ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বাংলাদেশে হার্টএটাকে আকস্মিকভাবে ইন্তেকাল করেছেন __ ইন্নালিল্লাহী ওয়াইন্নাইলাহীর রাজিউন__। মৃত্যকালে তিনি স্ত্রী, দুইপুত্র, এককন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও রাজনৈতিক কর্মী রেখে যান। অটোয়ায় সকাল ৮টার আগে-পরের সময় হঠাৎ করে ফেইসবুকে দুঃখজনক হৃদয়স্পর্শী সংবাদটি প্ররাচিত হওয়ার সাথে সাথে অবিশ্বাস্য এই সংবাদটি জানার জন্য অটোয়ার বাংলাদেশিরা একে অন্যকে ফোন করতে শুরু করেন। মাত্র ৫৩বছর বয়সের এই রাজনৈতিক সামাজিক ব্যক্তিত্ব হঠাৎ করে না ফেরার দেশে চলে যাবেন তা কেউ বিশ্বাস করতে পারছেন না। এইতো সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া বাংলাদেশের ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’-এ অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জনাব মিন্টু বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর টিকেটে নির্বাচন করার জন্য দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয়স্বার্থে হাইকমান্ডের নির্দেশে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। 
উল্লেখ্য যে, সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু কানাডা বিএনপির একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। এছাড়া তিনি, বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়াভ্যালী (বাকাওভ)-র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই প্রায় ৮বছর পর ২০১৮ সালে ‘বাকাওভ’-কে পুনর্গঠিত করা হয়। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে, তাঁর প্রিয় দল কানাডা বিএনপির কর্মীসমর্থকসহ  ‘বাকাওভ’-এর নেতৃবৃন্দ, অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ আশ্রম পরিবারের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়। তাঁরা বলেন- ‘জনাব সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর এই অকাল মৃত্যু অটোয়া তথা কানাডিয়ান বাংলাদেশিদের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন’। 
প্রয়াত সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর পরিবার সবার কাছে, মৃতের আত্মার জন্য দোয়া কামনা করেন।  ছোটভাই সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম খোকন- অটোয়া এবং কানাডার বাংলাদেশিদের কাছে তাঁর বড় ভাইয়ের আত্মার মাগফিরাতের জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন। তিনি বলেন- “ আমার বড় ভাই যদি আপনাদের কাছে কোন ভুল করে থাকেন তবে তাঁকে মাফ করে দিবেন এবং তাঁর জন্য দোয়া করবেন”।  
সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর স্ত্রী সৈয়দ কবিতাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাংলাদেশে যাওয়ার পর তাঁকে বগুড়ায় দাফন করা হবে। প্রয়াত সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে, ভাইবেরাদর ইতিমধ্যে বাংলাদেশে রওয়ানা দিয়েছেন।  

বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী পুনর্গঠিত করার সময়ে সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু ‘আশ্রম’-এর সাথে একটি একান্ত সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। লিংকটা কাজ না করায় নিম্নে সাক্ষাৎকারটির হুবুহ তুলে দেওয়া হল। সাক্ষাৎকারটি পড়লে দেখা যাবে, জনাব সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু অটোয়ার বাংলাদেশিদেরকে কত ভালবাসতেন।  

২২শে অক্টোবর, ২০১৭ ব্লেয়ার স্ট্রিটের টিমহরটন্সে আয়োজিত ‘অটোয়ায় ফোবানা সম্মেলন-২০১৮’-এর মতবিনিময় সভায় “আয়োজক সংগঠক” কে হবে তা নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে মৃতপ্রায় “বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)”-কে পুনর্জ্জীবিত করার প্রস্তাব আসে। সেই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা সভায় উপস্থিত বাকাওভের সভাপতি এয়ায়েতুর রহমান আঙ্গুর, সেখানে উপস্থিত বাকাওভের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুকে অটোয়ার বহু পুরাতন সংগঠন ‘বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)’-কে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেন। ‘বাকাওভ’-এর সভাপতির অনুরোধে সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু বাকাওভকে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব নিতে রাজী হন। ‘বাকাওভ’-কে পুনর্জ্জীবিত করার দায়িত্ব, দেওয়া-নেওয়ার সংবাদকে কেন্দ্র করে আমাদের এই ছোট শহরটির বাংলাদেশিদের মধ্যে যে কিছুটা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে  তাহা বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সহজেই অনুমান করা যায়।           
‘বাকাওভ’ অটোয়া তথা কানাডার বাংলাদেশিদের প্রথম সংগঠন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় অটোয়া এবং তার আশেপাশের দুয়েকটি শহরের কয়েকজন দেশপ্রেমিক বাংলাদেশি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার উদ্দেশ্যে, যে বাংলাদেশি ‘সমিতি’ করেছিলেন তা-ই পরবর্তীতে ‘বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালি (বাকাওভ)’ নাম ধারণ করে। ১৯৭১ থেকে ২০১৭, এই দীর্ঘ সময়ে বাকাওভের উত্থান-পতন দুই-ই দেখা যায়। তবে, একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে, বাকাওভের এই উত্থান-পতন, ফিরে আসা-হারিয়ে যাওয়া, নিত্তনৈমত্তিক হলেও অটোয়াতে ‘বাকাওভ’-কে কখনও ভাগবাটোয়ারা করা হয় নাই। ২০১০ সালে বর্তমান সভাপতি, এনায়েতুর রহমান আঙ্গুর-এর নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ বছর পর ‘বাকাওভ’ আবার পুনর্গঠিত হয়। পুনর্গঠনের পর দু’চার বছর সংগঠনটি ভালোভাবে পরিচালিত হলেও বিগত কয়েক বছর অটোয়ায় বাকাওভের অস্থিত্ব ছিল না বললেই চলে। এই অবস্থায় বাকাওভ-কে আবার পুনর্গঠিত করতে দায়িত্ব নিয়ে সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টু সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সেদিনের সেই মতামত সভায় উপস্থিত একজন অটোয়াবাসী হিসাবে ‘অটোয়ায় ফোবানা সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে তাহা ভেবে আমি যতটুকু না আনন্দিত হয়েছি, তারচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি সৈয়দ ফারুক মিন্টু বাকাওভ-কে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব নেওয়াতে।   
অটোয়ার অনেকের মত আমিও হারিয়ে যাওয়া ‘বাকাওভ’-এর পুনর্জনমের ব্যাপারে আশাবাদী। তবে ‘বাকাওভ’-কে পুনর্গঠিত করা খুবই কষ্টসাধ্য হবে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ের অটোয়াতে। শহরে এখন পাঁচ/ছয় হাজার বাংলাদেশিদের বসবাস। যাদের অধিকাংশই অটোয়ায় নতুন। এছাড়া দেখা-না-দেখা অনেকগুলো সংগঠন-এনজিও বিদ্যমান। এই অবস্থায় 'বাকাওভ'-কে কিভাবে পুনর্গঠিত করা হবে তা নিয়ে বাকাওভের সফল প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর সাথে আমার দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেই আলোচনার অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হল—  
প্রশ্নঃ ‘বাকাওভ’ এবং তার ইতিহাস  সম্বন্ধে আমাদেরকে কিছু বলেন-     
উত্তরঃ 'বাকাওভ'-এর সঠিক ইতিহাস সম্পূর্ণভাবে আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তবু সংক্ষিপ্তভাবে কিছু বলতে পারি। 'বাকাওভ' এর জন্ম হয় ১৯৭১ সালে। পাকবাহিনীর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীনের পক্ষে দেশের আপামর জনসাধারণ দলমত নির্বিশেষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের শুভলগ্নে অটোয়ার সর্বস্তরের বেশকিছু সচেতন মানুষ, দেশপ্রেমিক ব্যক্তিমহোদয় বাংলাদেশের অসহায় মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য ফান্ড রাইজিং শুরু করেন ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অটোয়া’ নামে। পরবর্তীতে অর্থাৎ ১৯৭২ সালের মাঝামাঝি কোন এক সময়ে প্রফেসর নাসির উদ্দিন আহমেদ সাহেবের সভাপতিত্বে ঐ নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী’ করা হয় যা আজ অবধী চলে আসছে। এর কারণ ছিল কিছু বাংলাদেশি তখন ‘হাল-গ্যাতিনো’-তে থাকতেন এবং তাদের প্রস্তাবে ‘ভ্যালী’ যোগ হয়ে নতুন নাম হয় ‘বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী’ সংক্ষেপে যাহাকে ‘বাকাওভ’ বলা হয়। এই সময়ে যথাক্রমে- আহসান উল্লাহ সাহেব, ড. সালেহ সাহেব, ড. মীজানুর রহমান সাহেব, ফরিদ খান সাহেব, ড. মাকসুদুর রহমান সাহেবসহ আরো অনেকে বাকাওভের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে শেখ মোঃ আলী ফারুক সাহেব, নাজমুল হোসেন সাহেব, বেগম রাশেদা নেওয়াজ, ফারুখ ফয়সাল সাহেব, সহিদুল ইসলাম জুয়েল সাহেব বাকাওভ এর দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে এনায়েতুর রহমান আঙ্গুর সাহেব বাকাওভ-এর দায়িত্বে আছেন।             
প্রশ্নঃ আপনি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে কখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন? সে সময় বাকাওভ-এর সভাপতি কে ছিলেন? আপনি দায়িত্বে থাকার সময় উল্লেখযোগ্য কিছু করেছিলেন?   
উত্তরঃ ১৯৯৩/৯৪ সালে আমি সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করি। তখন ড. মাকসুদুর রহমান  বাকাওভ-এর সভাপতি ছিলেন। তৎকালীন অটোয়াতে একটি মিশ্র অন্তর্দ্বন্দ্ব আমাদের আসার আগেই শুরু হয়েছিল। সেসময় আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় বেশিরভাগ অটোয়াবাসীকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। আমাদের সময়ে বাকাওভ এর পক্ষ থেকে বাংলা স্কুল প্রতিষ্ঠিত করা হয় যাহা বর্তমানে নাই বলেই জানি।
প্রশ্নঃ মৃতপ্রায় সংগঠনটিকে আবার পুনর্গঠন করার এই গুরুদায়িত্ব কেন নিলেন এবং কীভাবে তা সম্পন্ন করবেন?   
উত্তরঃ ‘অটোয়ায় ফোবানা সম্মেলনে’র মতামত অনুষ্ঠানে বর্তমান সভাপতি আঙ্গুর সাহেব ‘বাকাওভ’-কে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করায় আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করি। আপনিসহ সেখানে উপস্থিত বেশকিছু সম্মানিত ব্যক্তি মহোদয় প্রস্তাবটিকে সমর্থন দিলে সেই গুরুদায়িত্ব নিতে আমি সানন্দে রাজি হয়েছি এই শর্তে যে, আপনারা যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সহযোগিতা, ‘বাকাওভ’-এর প্রাক্তন এবং নতুন কর্মকর্তাবৃন্দসহ অটোয়াবাসী ভাই-বোনদের সহযোগিতা পাই তাহলে আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি। এছাড়া ‘বাকাওভ’ শহরের বাংলাদেশিদের প্রথম সংগঠন যার জন্ম হয়েছে ১৯৭১সালে। সংগঠনটির সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জড়িত। আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সদস্য। সেই হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসজড়িত সংগঠনটিকে ধরে রাখা আমার-আপনার সবার দায়িত্ব। আমাদের সবার দায়িত্ব ‘বাকাওভ’-কে পুনর্জ্জীবিত করা এবং সেই দায়িত্ববোধ থেকেই আমি ‘বাকাওভ’-কে পুনর্গঠিত করার দায়িত্ব নিয়েছি।           
কিভাবে দায়িত্ব পালন করবো বা সম্পূর্ণ করবো তাহা এই মূহুর্তে বলতে চাই না। কারণ, সবেমাত্র নতুন-পুরাতন সকলের সংগে যোগাযোগ শুরু করেছি। তবে আমি আশাবাদী। অটোয়াতে আমার প্রায় ২৮ বৎসর। অটোয়ার সকল সম্মানিত ভাই-বোনদেরকে আমি বিশ্বাস করি এবং গর্ব করে বলি যে আমরা এক। তার প্রমাণ অটোয়াতে এখনও একটি ‘বাকাওভ’। আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে, মান-অভিমান করে বিভিন্ন সংগঠন করা হয়েছে, কিন্তু এ্যাসোসিয়েশনকে কখনও দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা কেউ করে নাই। যাহা পৃথিবীর অন্য কোন প্রবাসীদের শহরে পাবেন না। এটা আমাদের অটোয়াবাসীর গর্ব। আমার বিশ্বাস সেই গর্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে।     
প্রশ্নঃ কবে নাগাদ আমরা ‘বাকাওভ’-এর নতুন কার্যকরী কমিটি দেখতে পাব?      
উত্তরঃ খুব তাড়াতাড়ি। আশা করি অটোয়াবাসী সকল বাংলাদেশি ভাই-বোনদের পূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে মাস দু’য়েকের মধ্যেই আমাদের সবার প্রিয় সংগঠন ‘বাকাওভ’-কে পুনর্গঠিত করতে পারবো।     
পুনশ্চঃ সৈয়দ ফারুক আনোয়ার মিন্টুর সাথে আলাপের পর আমি নিশ্চিত, তিনি অটোয়ার সকল বাংলাদেশিদেরকে নিয়েই তাঁর উপর অর্পিত গুরুদায়িত্বটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করিতে বদ্ধপরিকর। আসুন আমরা তাঁকে সহযোগিতা করি এবং মুক্তিযুদ্ধের জাতক ‘বাংলাদেশ কানাডা এ্যাসোসিয়েশন অব অটোয়া ভ্যালী (বাকাওভ)’কে আবারও পুনর্গঠিত করি।  
কবির চৌধুরী
২৯ অক্টোবর, ২০১৭
অটোয়া, কানাডা