সোমের কৌমুদী-র কবিতা
কলমটাও তোমার কাছে ঋণী
কুয়াশা মাখা শীতের সকালে এক চিলতে রোদের প্রতীক্ষায় থাকা কলমটাও
অনায়াসে বসন্তের গান লিখে চলে।
আজ কলমটাও জানে – এই স্বাধীন ভূখণ্ডে
শীতের মাঝেও চাইলেই বসন্ত আনা যায়,
কলমটাও জানে – বসন্তে চাইলেও কেউ আর এখানে
শীত ডাকতে পারবে না। কুয়াশায় ভেজাতে পারবে না মায়ের হৃদয়।
হাতের কলমটাও আজ সৃষ্টির উল্লাসে যায় লিখে।
লিখে চলে মায়ের কথা, তোমার কথা –
সেও জেনে গেছে, তাকে দাবায়ে রাখার কেউ নেই।
কেননা, এতদিনে সহস্রবার সে লিখেছে –
“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” – এর কাহিনি।
প্রথম লেখার পর থেকেই কলমের কালি সৌরভ ছড়িয়ে যাচ্ছে।
হে জনক, তোমার কাছে আমার লেখার কলমটাও ঋণী।
প্রাপ্তি
উষার স্নিগ্ধ নীরবতা
আর প্রাতে সূর্যের দেয়া কাঁচা সোনা,
পরম মমতায় ছড়িয়ে পড়ে এই বাংলার বুকে।
সকাল হতেই শুরু সবার কর্মব্যস্ততা
আর দুপুরে খানিকটা বিশ্রাম নেয়া,
বিকালে নিশ্চিন্ত আর খুশি মনে ফেরা নিজ বাড়িতে
এমন সুখেই বাংলার লোকদের দিন যাচ্ছে কেটে।
গোধূলির অপরূপ লগন
বাংলায় নির্বিঘ্নে ঘটছে এখন।
সংঘর্ষ নয়, রাতে এখানে বিরাজে নীরবতা
লোকদের আনন্দগীতি কণ্ঠে ঘুমাতে যাওয়া।
এই বাংলায় শীত আসার অধিকার
কষ্টের মাঝেও রয়েছে বাঁচার অহংকার,
বসন্তে কোকিলের গান গাইবার অধিকার,
সব-ই দিয়েছে ছাব্বিশে মার্চ, উনিশ শ একাত্তর।
সোমের কৌমুদী । ঢাকা, বাংলাদেশ
-
ছড়া ও কবিতা
-
23-03-2020
-
-