অটোয়া, শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪
নারী - মুতাকাব্বির মাসুদ

তোমার জন্মের কালে আমি বেঁধেছিনু প্রেমের রাখি তোমারই পশমে পশমে 
নীরবে কেঁদেছিলে হাতখানা রেখেছিলে
মৃত্তিকায় ঝলসানো শস্যের হাঁড়িতে
পাথুরে হিমেল রাতে পাঁজর ভাঙা শিস ওঠেছিলো 
হটটিটি পাখির ঠোঁটে 
তোমার নীলাভ চোখের ভেতর এক চামুচ নীল দরিয়া 
তোমার উর্ণাভো নাভির নিচে নীল ঝর্না
নীল ঝিনুক আর নীল শালুকের বিকম্পিত স্পন্দন 
গোটা শরীর জুড়ে বিনম্র নীল কমলের
কষ্ট বেঁধা রোনাজারি 
বোহেমিয়ান শ্বেত শালিকের আড্ডা 
তবুও তুমি ঘুমের ভেতর শ্রান্ত অন্তরে 
ওড়ে যাওয়া পাখির ডানায় চপল চঞ্চল স্থলপদ্ম 
আমার বিষণ্ণতা তোমার নগ্ন উজাল শরীরে
সভত্যার চিত্রল হরিণ
বনবিলাসী কাজল ডুমুর - গোলাপি জারুল ফুল
তোমার সুবিমল জঘনে নৃত্য করে- খোঁজে কস্তুরি সুবাস 
আমি মরি প্রণয় যন্ত্রণায়- বেতস শরীর তোমার
আমার প্রেমের দলিল
যদি হও তুমি নারী 
যদি হও তুমি পাখি
কিংবা রাজহংসী 
আমি জানি তোমার মাঝেই আছে প্রেমের মৃগনাভি
শান্তির সাদা কালো- ভালোবাসায় মোড়া অতুল কাবিন
এখন যদিও অন্য রকম বৈশ্বিক সভ্যতার
বারুদ মুখর জরায়ু তোমার 
তুমি ব্রততী - আমি সাধনায় মগ্ন এক অভিক
বাস্তুহারা উদ্ভ্রান্ত তান্ত্রিক পুরুষ 
আমি জানি তোমার মাঝেই আছে
সভ্যতার আতর - গোলাপের সুস্নিগ্ধ কস্তুরি-
বদলে যাওয়া বিপন্ন পৃথিবীর প্যারাডাইস-
আমি জেনে গেছি সব নারীতেই আছে
কমলার মতো অন্তর্গত অদৃশ্য এক মৃগনাভি 
তোমাকে পাওয়ার সাধনায় ওড়ে ওড়ে 
কোনো এক দূরের-ক্লান্ত পাখি
তোমার পরশে- সুবাসে
মরতেও পারে  নিশ্চিত!

মুতাকাব্বির মাসুদ 
শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ