অটোয়া, শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪
আবার হাঁটতে হবে - মুহাঃ হাবিবুর রহমান

বার হাঁটতে হবে সবটুকু পথ-
লোকালয় ছেড়ে সুদূরে হারিয়ে যাওয়া অজস্র বাঁক
মাড়িয়ে শেষ অবধি ছুঁতে হবে কল্পতরুর সমস্ত দেহ,
প্রতি পায়ে ধুলিকণা ঝিল কাকরের দানা তুবও পথের পরে 
পায়ের কষাঘাত, 
দিন শেষে নিজের মতো করে
ভাবতে কোনো বাঁধা নেই, যদিবা সময় খেয়ে ফেলে ইচ্ছে গুলি
আমার দৃষ্টির সীমানায় পুড়তে থাকবে ভবিষ্যৎ
কিভাবে দাঁড়াবো তোমার সামনে সহায় সম্বলহীন এক যাযাবরের মতো?
অকুণ্ঠ চিত্তে বেদনাহত বৈপরীত চেতনার কালানলে পুড়লেও 
মাথা তুলে জাগাতে হবেই নিরন্তর ফুলেল বিছানার সাধ
কোথায় জানবেনা সিন্ধু ঢেউ খোলপেটুয়ার স্রোত বয়ে যায় রাত দিন,
অহেতুক স্বপ্ন যাত্রা চারপাশে সুর তোলে বিহঙ্গের রাগে
জোৎস্না ঝরে শীতের রাতে জেগে থাকা চোখের কোল জুড়ে 
সে সব বুঝবেনা কোন কালেও, (বিধাতা বোঝার শক্তি দাও তারে)
একরাশ বিড়ম্বনা ঠেলে প্রতিনিয়ত বঞ্চনার হতাশা মাড়িয়ে অতঃপর
আদ্যপ্রান্ত বিবেচনায় কীইবা থাকে অবশিষ্ট তৃণমূলে?
সে ভাবনা মোরে তাড়িত করে, লোভ হীন চাহনিতে ঘুরে ফিরে 
একান্তে শান্তনা-অদৃষ্ট বোঝে আমার সকল প্রাপ্তির খের খাতা,
জটিলতাময় সুখ হীন নিদ্রা- বিপরীত ভাবনার শেষ লাইনে 
অজুত খন্ডিত উপন্যাসের পাতা জুড়ে কষ্টের জীবন কিংবা
নিঃস্বঙ্গ সৈকতের বেলাভূমিতে কড়ি কুড়ানোর প্রতিযোগিতা ছেড়ে
আবার হাঁটতে হবে সবটুকু পথ,
চৈত্রের খরাময় দিনগুলি মাথায় নিয়ে 
তৃষ্ণাত্ম পথিকের বেশে বিষন্ন এই জাগতিক মেঠ পথে।

মুহাঃ হাবিবুর রহমান
নওয়াবেঁকী, শ্যামনগর
সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ