অটোয়া, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
মেনে নাও - শামীম আহসান

মার চোখের সামনে যখন কৃষ্ণ মেসোরা বৃষ্টিতে ভিজে রোদে পুড়ে ধান চাষ করেও পেট পুরে খেতে পায়না।
আমি কৃষ্ণ মেসোদের নিয়ে তাদের ডাইনিং রুমে হামলা করতে চেয়েছিলাম।
নবদা বলেছিলো,
তুমি পারবেনা কিছু করতে, মেনে নাও।

চন্দ্রদা লেখাপড়া শেষ করে যখন চাকরি পাচ্ছিলোনা,
প্রচন্ড হতাশায় ভুগছিলো,
চন্দ্রদার আত্নহত্যার আগের দিন বলেছিলাম,
চন্দ্রদা চলো ওদের সব কারখানা গুলো পুড়িয়ে দিই।
নবদা বলেছিলো,
তোমরা কিছু করতে পারবেনা মেনে নাও।

উমাদিকে যখন ওদের লোকই খামচে খামচে খেলো,
উমাদিকে নিয়ে গেছিলাম পবিত্র বিচার কার্যর দরবারে,
বিচার পাইনি আমরা।
ওল্টো উমাদিকে ওরা মাগী বলেছিলো।
আর নবদা বলেছিলো,
দেখলে তো সব ওদের,
কিছু করতে পারবেনা মেনে নাও।

বিষুরা যখন রাস্তার পাশে ঘুমিয়ে রাতের পর রাত পার করছিলো,
বিষুরা মেনেও নিয়েছে তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখানেই থাকতে হবে।
তখন বিষুদের নিয়ে ওদের বড় বড় রঙিন দালানগুলো ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিলাম।
তখনও নবদা বলেছিলো,
তোমরা কিছু পারবেনা,
চুপ করে মেনে নাও।

কৃষ্ণ মেসো যখন খাবারই পায়না,
চন্দ্রদাদের যখন হতাশায়ই ভুগতে হয়,
উমাদি যখন বিচারই পায়না,
বিষুদের যখন রাস্তার পাশেই ঘুমাতে হবে,
তখন সংসদ নামের গোয়ালটা রেখে কী হবে!
ওখানে হামলা করে,ভেঙ্গে দিয়ে পুরিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।
নবদা তখন কিচ্ছু বলেনি চুপ করে ছিলো।
আমরাও গিয়েছিলাম।
পারিনি!
তবে হাল ছাড়িনি!
আমরা যাবো,
আবার যাবো,
বারবার যাবো।

শামীম আহসান। নওগাঁ