সাংকেতিক পাখিপাখির ডানায় গজেছে ঘাসআমরা মানুষেরা প্রতিদিন উড়ে যাচ্ছি আকাশে।মাটিতে আদার খুঁটে খেতে খেতে একদিনপাখিদের কেউ কেউ হয়ে গেল সবুজ বৃক্ষকেউ কেউ রঙিন পাথর, প্রাসাদ, অট্টালিকা।আর উড়তে উড়তে আমরা মানুষেরা হয়ে গেলামদূর আকাশের এক একটি ভাসমান তারা।আমাদের ডানা নেই তাইঅনেক দূরের আকাশ থেকেআমরা ফিরে আসতে পারলাম না আর।আমাদের অট্টালিকায় এখন শুধুই পাখিদের বাসআর পাখিদের কিচিরমিচির কিচিরমিচির কিচিরমিচির!বৃষ্টি ও রাজকন্যাবৃষ্টিতে ভিজে গেছে পুরোনো দেওয়ালএখন সমস্ত দেওয়াল জুড়ে সবুজ শ্যাওলাআর ফাটলের হা মুখ বিমূর্ত ঘোড়া।নিরাশ্রয় আমি এই ফাটলের হা মুখস্যাৎসেতে দেওয়ালের ঘরেই নিয়েছি আশ্রয়আর বিমূর্ত ঘোড়ার পিঠে চড়ে পাড়ি দেইসাত সমুদ্র তের নদী পার রাজার দেশে।সেখানেও ভাঙা পালঙ্কে রাজকন্যার তামাটে চুলএক একটি জীয়নকাঠি মরণকাঠির বিষাক্ত সাপ!মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে তবু আমি বিমূর্ত ঘোড়ার পিঠেতুলে নিয়ে আসি হাজার বছরের ঘুমন্ত রাজকন্যাকে।প্রতিবাদহীন আমার ভাঙা স্যাৎসেতে ঘরেরাজকন্যা হা করে চেয়ে থাকে ভাঙা দেওয়ালের দিকেসারারাত অজস্র বর্ষণেও বন্ধ হয় না সেই হাস্বপ্নের রাজপুত্র আমি বিমূর্ত ঘোড়ার পিঠেদৌড়াতে থাকি দেওয়াল জুড়ে তেপান্তরের মাঠেআর নিঃশেষ হতে থাকি ভেতরে ভেতরে।রাজকন্যার নীল বিষ তামাটে চুলের বিষাক্ত ছোবলে! ভাঙা চশমার গল্পযান্ত্রিক অভিজ্ঞতার এই অদ্ভুত সমীকরণের দিনেঘরে বসে কেউ কেউ দেখাচ্ছেন শাড়ির বাহারকেউ কেউ রঙবেরঙের বাহারি পাঞ্জাবি আরকেউ কেউ শোনাচ্ছে ভাঙা চশমার গল্প ।অল্প অল্প আমারও আছে কিছুজানালার কার্ণিশে পাখ-পাখালির গল্পপৃথিবীর হৃদপিণ্ডে বরফ পাহাড়ের ছবিফুসফুসের নিঃশ্বাসে গভীর ক্ষতের প্রলেপঅরণ্য প্রকৃতিই আমার শেষ ঠিকানা ।তোমরা যে যেভাবেই সাজোএভাবেই আমি করোনাকে করবো জয়পশু, পাখি ও প্রকৃতির ক্ষয় রোধ করে ।সুকুমার সরকারকালদিঘি, গঙ্গারামপুরদক্ষিণ দিনাজপুর
Ashram Bengali Magazine, Ottawa