কাল রাতে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এল বন্দরেতাতে বারুদ টাঁসা অক্ষরে লেখা বই স্তরে স্তরে সাজানো ছিল রসদএকদল ভায়োলিন বাদক সুরের মূর্ছনায় অভিবাদন জানাচ্ছিল সেই সেনা প্রতিনিধিকেঠিক তখনই পুষ্পবৃষ্টি ঝরছিল স্বপ্নের রাজ্যেঘুম ভেঙে দেখি মানুষের অভাব চিরকালেরআমাদের ক্ষুদা মিটলেও অভাব মেটে না কোনদিন খোঁজ পড়ে একটুকরো জমিরতারপরই বাড়ে ভূমি দখলের লড়াইঅঞ্চল থেকে গ্রাস করে ফেলি সারা পৃথিবীটাবলভিয়ায় কিম্বা হুয়ান প্রদেশ জলপাইয়ের গাঢ় সবুজ জঙ্গল তার মধ্যে আলপনা আঁকছিল হলুদ বৌ কথা কও পাখিমাঝে মাঝে উড়ে এসে বসত বসন্ত বৌরি কত রঙ বেরঙের পাখপাখালির শোভাতবুও আমরা বন্যতা নিয়ে প্রকৃতি নিধন করিএকদিন শূন্যে পড়ে থাকে সবআট দশক আগের থাবা বসিয়েকরুন বিধ্বস্ত নাগাসাকি ও হিরোসিমাকে চিনিয়েছো তুমিআর সারা বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদের জাল বুনেছে ঘাতকআজ আবার লড়াই বেধেছে দেখো পাশার ঘুঁটি উল্টে যায়কে করবে আগামীর প্রভুত্ব শুরু হয়েছে অশরীরি এক যুদ্ধ ভাইরাসের আক্রমণ ছড়িয়েছে সারা দুনিয়ায়এশিয়া থেকে ইউরোপ ওশেনিয়া থেকে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা আফ্রিকা থেকে এন্টার্কটিকা বিটোফোনে বেজে উঠছে সর্বদা অসহায় আত্মসমর্পণ আমরা শুধু নিরহপায় দেখছিক্ষমতার সিংহাসন নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছেবন্দরে ভিরেছে যে বিশাল জাহাজ তার থেকে আমায় একটা বই দেবে ক্যাপ্টেনআমি খুঁজছি ইস্তান্বুলে বেড়ে ওঠা এক কিশোরকেআনাতোলিয়ার গোপন ডেরায় আবিস্কার করবোসীমানা পেড়নো বাতুম কিম্বা মস্কোর পরবাসেমুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতা হ্যা আজ একবার সবাই মিলে সারিবদ্ধ হইবিপন্নতায় খুঁজে নেই আলোর পথবড় প্রয়োজন আজ তোমরা এসো নাজিম হিকমতের কবিতা পড়িহরিশঙ্কর কুন্ডুকামরাবাদ, সোনারপুরকোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ
Ashram Bengali Magazine, Ottawa