দ্রোহে আগুনওরে ওই বেইমানের দল উঁচু শিরে চলিসযে ছিলো তোর প্রেরণায় তারেই কটু বলিস।হারাধনের তিনটি ছেলে একটি গেলি ভুলেভাবছিস দু'য়ে দিবে তোকে হিমালয়ে তুলে?মরীচিকায় আছিস ভুলে যেদিন হবে ক্ষয়পারবি কিরে মেনে নিতে মিথ্যার পরাজয়?নারীর গায়ে দ্রোহ ঢেলে করিস তুই শয্যানাই কি তোর দুই চোখেতে নিন্দা কিংবা লজ্জা?ভাবছিস কি পার করলি সুখে-সুখে বেলাদেখতে হয়তো হতেও পারে যাদুকরের খেলা।সময় থাকতে হুশিয়ার হ এখনও হয়নি শেষভুল করে বাড়িয়ে দিস না ভবিষ্যতের ক্লেশ।মিনমিনেয়ে চলিস তোরা ভদ্র সাধুর বেশেতোরাই কেন নোংরা কীট সোনার বাংলাদেশে?টাকা পয়সা স্বার্থ চিনলি ভাবলি না তো স্বর্গভাবছিস না তো মরে গেলে পড়ে রইবে দূর্গ।এক পৃথিবী দুঃখের বোঝা দিলি যাদের বুকেআড়ালে তোরা একা-একাই থাকতে চাইলি সুখে।দুখী জানিস ওঠবে একদিন দ্রোহের আগুন জ্বেলেসঙ্গী হতে চাইবি যখন তোদের যাবে ফেলে।চোখের জল ঝরালি যারে পায়ের নিচে পিষেদেখলি না চাঁন কপালির কপালটা একবার ঘষে।একদিন জানিস অত্যাচারের হিসাব নিবে কষেসময় থাকতে হয়ে যা হুশিয়ার বলি পরিশেষে।দুঃসাধ্য চাওয়াতোমার কাছে চাইনি আমি একশো একটা গোলাপচাইনি আমি তোমার কাছে লিখে দাও একটা রাজ্যবলিনি নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দাও আমায় ভেবে-ভেবেভাবিনি তুমিই আমার একমাত্র ভালোবাসার সম্পদচলতেও চাইনি তোমার সঙ্গে গাট বেঁধে সারাটা জীবনস্মরণে রাখবো তুমি আমার ভালোলাগার আরাধনা।আশা করিনি অনাহারে যোগাড় করবে ভরণ পোষণভাবতে বলিনি চলার পথে আমি একা কতটা অসহায়স্বপ্ন দেখিনি অসুস্থ হলে পথ্য দিয়ে পাশে দাঁড়াবেসেবা চাইনি বারবার মৃত্যু দুয়ার হতে ফিরার মুহুর্তেথাকতে চেয়েছি অতি সাধারণ মনি-মুক্তাও চাইনিতোমার হাসি-আনন্দের ভাগ চাই এ ও কখনো বলিনি।শুধু চেয়েছি,তোমার প্রতিটা সকাল হোক আমারসকালের প্রথম ভাবনাটা হোক আমার স্মৃতি স্মরণেসকালের প্রথম ঘুমটা ভাঙ্গুক আমার মুখটা ভেবেযা চেয়েছি তা হয় না পাওয়া এ যে দুঃসাধ্য চাওয়া।শূন্যতার খোলসশক্ত আবরণে ঢাকা সুপানীয় ও সুমিষ্ট শাঁসযুক্ত-নারিকেল এর স্বাদ নিতে যেমন এর উপরের-ছোবড়া ছাড়ানো হয়,উপরের আবরণ শক্ত হলেও ভিতরে কেবলি ফাঁকাআর মানুষ নিজ চাহিদার প্রয়োজনে খাদ্যটুকু খেয়ে-শক্ত আবরণ বা খোলস ফেলে দেয় ডাস্টবিনে অথবা আবর্জনার ভাগাড়ে,প্রয়োজনে জ্বালানিও বানায়।তেমনি কিছু মানুষের জীবনও এমনি!উপরে দেখতে খুবই প্রতিবাদী-সাহসী কিন্তুভিতরে কেবলি কোমল ও খাদ্যপযোগী বস্তুর মতই।প্রয়োজনে কেউ শক্ত মানুষটাকে খুবলে ছিঁড়বে তারপর খাদ্যটুকু উপভোগ করে ছুঁড়ে ফেলে দিবেআবর্জনার স্তুপে!হয়তো নারিকেলের মালার মত শেষ অস্তিত্বটুকুও-জ্বালাতে ছাড়বে না!নিজেকে কেন জানি এমনটাই মনে হয় সব সময়,খুবই শক্ত মনের মানুষ কিন্তু অল্পতেই ভিতরের-শাঁস অবধি পৌছে যায় অনেকে,আর প্রয়োজন শেষে আবর্জনায় ফেলে দেয় কিংবা জ্বালিয়ে দেয় আমার অস্তিত্ব!রহিমা আক্তার রীমা । ঢাকা, বাংলাদেশ
Ashram Bengali Magazine, Ottawa