অটোয়া, শুক্রবার ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
বৃষ্টির শরীরে কান্নার দাগ - শহিদুল ইসলাম জিতু

কান্নার মধ্যে মৃত্যুরা যখন শুয়ে থাকে 
তখন বুঝি এখানে আর প্রেম নেই
তবুও অদূরের প্রশস্ত নির্জনতায়
তুমি ঠিক হাঁটো,
বাড়াও হাত;
মৃত পাথরের বুকে কান পেতে শুনতে চাও 
স্পন্দন ধ্বনি। 

আমাকে চিৎকারে চিৎকারে ডাকো।

ততক্ষণে আমি আর মানুষ নেই 
পণ্য হয়ে গেছি 
আমাকে পাবে -
বিপণী বিতানে,  ছোট-বড় মুদি-মনোহরিতে 
বহুল আলোচিত বিজ্ঞাপনে,  ঠোঁট থেকে ঠোঁটে,  বার-বার পুনর্জন্মে । 

তুমি কি প্রত্নতত্ত্ববিদ? 

তবে খুঁড়ো 
বুক, হাঁড়-হাড্ডি,  পাঁজর 
দেখবে পুরোটাই জমাট খনিজ ;
ঈশ্বরের আদিম পারিজাত
তখনো হৃৎপিণ্ড সচল করে রেখেছে। 
তখনও পাথুরে মাংসে আগুন!  

কি তাপ পাচ্ছো?

কতটা ভালোবাসলে এতটা পোড়া যায়,  জানো?

দ্যাখো 
এই স্থির চোখ 
পৃথিবী সমান কথা নিয়ে কতটা দীন হয়ে আছে। 

কেবল তোমাকে ভালোবেসে 
নিজেকে এতটা ভেঙেছি 
অভিন্ন আমি তোমাতেই ম্লান হতে হতে জেনেছি 
তুমি বৃষ্টির শরীরে কান্নার দাগ।

মোঃ শহিদুল ইসলাম জিতু
ঢাকা, বাংলাদেশ